হরিপুরে পাট চাষে সুদিনের স্বপ্নে কৃষক

হরিপুরে পাট চাষে সুদিনের স্বপ্নে কৃষক

জসীম উদ্দীন ইতি :হরিপুর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

আশা-নিরাশার দোলাচলে প্রতিবছর লাভ-ক্ষতি
দেশের ‘সোনালি আঁশ খ্যাত পাট তার অতীত ঐতিহ্য হরিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। সময়ের বিবর্তনে পাটের কদর কমেছে অনেক। পাটের সে সোনালি অতীত কেবলই ইতিহাস। কয়েক বছর আগে দাম তেমন একটা না পাওয়াই থেমে নেই ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার কৃষকরা।
তবুও সুদিন ফেরার স্বপ্নে বিভোর তারা। গত বছরের চেয়ে চলিত বছর পাটের বেশি চাষ করেছেন এই জেলার সীমান্ত উপজেলার পাট চাষীরা। আশা-নিরাশার দোলাচলে প্রতিবছর লাভ-ক্ষতির হিসাব না করেই পাটচাষ করেন উপজেলার কয়েক শত কৃষক। শুরু থেকে উৎপাদন খরচ বেশি ও পাটগাছ থেকে আঁশ ছাড়ানোর শ্রমিক সংকটের মধ্যে কাঙিক্ষত দাম না পাওয়াতে হতাশ ছিলো কৃষকরা।
তবে বর্তমানে পাটের বাজার দর পেয়ে খুশি উপজেলার পাট চাষীরা। পাট ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, প্রতি মন পাট ২৫০০-৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছে চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তোষা, কেনাফ এবং দেশী প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
উপজেলার আমগাঁও এলাকার পাট চাষী আব্দুল খালেক জানান, গত বছরে প্রত্যেক মণ পাট বিক্রি হয়েছে, ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা। প্রতি বিঘায় ফলন হয়েছে ৮ থেকে ১১ মণ। প্রতি খচর হয়েছে ৬-৮ হাজার টাকা।
গেদুড়া ইউনিয়নের চাষী মুনিরউদ্দীন বলেন, পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাতা না হওয়ায় পাট বড় হতে দেরি হয়েছে। পরে বৃষ্টি হওয়াতে শুধু পাট গাছ বড় হয়েছে। আঁশ তেমন মোটা না হওয়ায় ফলন একটু কম হয়েছে। তবে দাম ভালো পাওয়ায় লাভ হয়েছে। এরকম বাজার থাকলে আগামীতে আরও পাট চাষ করবো।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি সহকারী কর্মকর্তা গুলজার হোসেন বলেন, চলিত মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হওয়ায় লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। গত বছরের চেয়ে এ বছর মণ প্রতি ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা বেশি পাচ্ছেন কৃষকরা। এমন দাম পেলে আগামীতে পাট চাষে আরও আগ্রহী হবেন কৃষকরা।

আপনি আরও পড়তে পারেন